দর্শনীয় স্থান এর তালিকা
বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানা, ঢাকা
লোকেশন: রাজধানী ঢাকার মিরপুরে মনোরম প্রকৃতিক পরিবেশে বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানা (Bangladesh National Zoo) অবস্থিত।
টিকিট মূল্য: দুই বছরের বেশি যে কারও জন্যে মেইন গেইট প্রবেশ করতে টিকেট মূল্য ৫০ টাকা। জো মিউজিয়ামে প্রবেশ করতে টিকেট মূল্য ১০ টাকা। দুই বছরের কম বাচ্চার জন্যে কোন টিকেট লাগবেনা। এছাড়া স্কুল, কলেজ এবং ইউনিভার্সিটির স্টুডেন্ট এর ক্ষেত্রে প্রবেশ টিকেট মূল্য অর্ধেক। সেই ক্ষেত্রে নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আইডি কার্ড দেখাতে হবে।
সুবিধা:
বিবরণ:
সাজেক উপত্যকা, রাঙামাটি
লোকেশন: সাজেক বা সাজেক উপত্যকা বাংলাদেশের রাঙ্গামাটি জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলার অন্তর্গত সাজেক ইউনিয়নের একটি বিখ্যাত পর্যটনস্থল। এটি রাঙ্গামাটি জেলার সর্ব উত্তরে মিজোরাম সীমান্তে অবস্থিত।
টিকিট মূল্য: টিকিট মূল্য নেই
সুবিধা:
বিবরণ: সাজেকে সর্বত্র মেঘ, পাহাড় আর সবুজ। এখান থেকে সূর্যোদয় আর সূর্যাস্ত দেখা যায়। সাজেকের রুই-লুই পাড়া থেকে ট্রেকিং করে কংলাক পাহাড়-এ যাওয়া যায়। কংলাক হচ্ছে সাজেকের সর্বোচ্চ চূড়া।
সুন্দরবন
লোকেশন: পদ্মা, মেঘনা ও ব্রহ্মপুত্র নদীত্রয়ের অববাহিকার বদ্বীপ এলাকায় অবস্থিত এই অপরূপ বনভূমি বাংলাদেশের খুলনা, সাতক্ষীরা ও বাগেরহাট জেলার কিছু অংশ এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের দুই জেলা উত্তর চব্বিশ পরগনা ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জুড়ে বিস্তৃত।
টিকিট মূল্য: টিকিট মূল্য নেই
সুবিধা: জীববৈচিত্রে সমৃদ্ধ সুন্দরবনের ১,৮৭৪ বর্গকিলোমিটার জুড়ে রয়েছে নদীনালা ও বিল মিলিয়ে জলাকীর্ণ অঞ্চল। রয়েল বেঙ্গল টাইগার সহ বিচিত্র নানান ধরণের পাখি, চিত্রা হরিণ,মায়া হরিণ ,বন্য শূকর,বানর, বনবিড়াল, সজারু,কুমির ও সাপসহ অসংখ্য প্রজাতির প্রাণীর আবাসস্থল হিসেবে সুন্দরবন পরিচিত।
বিবরণ: বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অর্থনীতিতে যেমন, ঠিক তেমনি জাতীয় অর্থনীতিতেও সুন্দরবনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। এটি দেশের বনজ সম্পদের একক বৃহত্তম উৎস।
পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত
লোকেশন: বন্দরনগরী চট্টগ্রাম থেকে মাত্র ১৪ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত পতেঙ্গা সৈকত। .
টিকিট মূল্য: টিকিট মূল্য নেই
বিবরণ: পতেঙ্গা সৈকতের প্রস্থ খুব বেশি নয় এবং এখানে সমুদ্রে সাঁতার কাটা ঝুঁকিপূর্ণ। সমুদ্র সৈকতজুড়ে ভাঙ্গন ঠেকাতে কংক্রিটের দেয়াল এবং বড় পাথরের খণ্ড রাখা হয়েছে। নব্বইয়ের দশকে সৈকতের আশেপাশে বেশকিছু রেস্টুরেন্ট এবং খাবারের দোকান স্থাপিত হয়েছে। সৈকতে বাতির ব্যবস্থা করায় রাতের বেলা ভ্রমনকারী পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়েছে।
সুবিধা: শহর থেকে বিক্রেতারা তাদের আইসক্রিম, কোমল পানীয় এবং খাবার পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে আগত পর্যটকদের নিকট বিক্রি করে। স্থানীয় লোকজনের মতে, পতেঙ্গা খুব স্বল্প ব্যয়ে সুস্বাদু খাবারের জন্য সেরা জায়গা। খাবারের স্ট্যান্ডগুলির জনপ্রিয় খাবারগুলির মধ্যে একটি হল ভাজা, মশলাদার কাদা মাটির কাঁকড়া। একটি ছোট প্লেট দিয়ে পরিবেশন করা হয় যা কুচি-কুচি শসা এবং পেঁয়াজ দিয়ে সজ্জিত থাকে। সন্ধ্যায় সৈকতে একটি সুন্দর শীতল পরিবেশ থাকে এবং লোকেরা এই শান্ত বাতাস উপভোগ করতে আসে। জোয়ারের সময় ঢেউয়ের আঁচড় যেন নয়নাভিরাম দৃশ্যের অবতারণা করে। চট্টগ্রাম বন্দরের জন্যে অপেক্ষমাণ সারি সারি ছোট বড় জাহাজ এইখানের পরিবেশে ভিন্নতা নিয়ে আসে। পতেঙ্গায় রয়েছে স্পীড-বোটে চড়ে সমুদ্রে ঘুরে বেড়ানোর সুযোগ রয়েছে। সমুদ্র তীরে ঘুরে বেড়ানোর জন্যে আছে সী বাইক ও ঘোড়া। কেনাকাটার জন্যে আছে বার্মিজ মার্কেট।
চুনতি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য
লোকেশন: । চট্টগ্রাম শহর থেকে প্রায় ৭০ কিলোমিটার দক্ষিণে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পাশে এর অবস্থান।
টিকিট মূল্য: টিকিট মূল্য নেই
বিবরণ: চুনতি অভয়ারণ্য এক সময় জীববৈচিত্রে সমৃদ্ধ ছিল। বন ধ্বংসের কারণে যা দিন দিন কমে আসছে। বন্য এশীয় হাতি এই বনের অন্যতম আকর্ষণ এবং এরা বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের বনের মধ্য দিয়েই চলাচল করে।এই অভয়ারণ্য মূলত টিলাময় এবং অনেক জায়গায় পাহাড়ি ভূপ্রকৃতি, প্রচুর অগভীর ও গভীর খাদ রয়েছে। কোথাও সামান্য ঢালু জায়গা আবার কোথাও খাড়া ঢাল দেখা যায়।
সুবিধা:
চুনতি বড় মিয়াজী ও ছোট মিয়াজী মসজিদ
লোকেশন: চুনতী হযরত বড় মিয়াজী ও ছোট মিয়াজী মসজিদ বাংলাদেশের বন্দরনগরী চট্টগ্রাম জেলা এলাকার লোহাগাড়া উপজেলার চুনতী এলাকায় অবস্থিত একটি অতি প্রাচীন মসজিদ।
টিকিট মূল্য: টিকিট মূল্য নেই
বিবরণ: চুনতি হযরত বড় মিয়াজী ও ছোট মিয়াজী মসজিদ বাংলাদেশের, চট্টগ্রাম জেলার, চুনতীতে অবস্থিত একটি প্রাচীন মসজিদ। [১] এই এলাকার প্রসিদ্ধ বুজুর্গ ও দ্বীনে আলেমদ্বয় হযরত বড় মিয়াজী ও হযরত ছোট মিয়াজী বিগত ১৬শ শতকে এই মসজিদ প্রতিষ্ঠা করেন । চুনতি বড় মিয়াজী ও ছোট মিয়াজী মসজিদ,চুনতী ১৬৬৮ সালে স্থাপিত মসজিদটি ১৯৭৭ সালে সংস্কার করে একতলা বিশিষ্ট পাকা মসজিদে রূপান্তর করা হয় এবং পরবর্তীতে ২০১০ সালে পুরাতন মসজিদ ভবন ভেঙ্গে পুনরায় আধুনিক নির্মাণশৈলী ও নয়নাভিরাম এই মসজিদ নির্মাণ করা হয় ।
সুবিধা:
চাম্বি রাবার ড্রাম
লোকেশন: চুনতি
টিকিট মূল্য: টিকিট মূল্য নেই
বিবরণ: চাম্বি লেকের চারপাশ সবুজে ঘেরা। যতদূরে চোখ যায়, শুধু দেখা যায় সবুজ আর সবুজ। দর্শনার্থীদের জন্য রাবার ড্যামের আশেপাশের উঁচু-নিচু পাহাড়, টিলায় ছাতা, বসার বেঞ্চ ও উন্মুক্ত গোলঘর তৈরি করা হয়েছে। ফলে ইতিমধ্যে এটি দর্শনার্থীদের কাছে বেশ সাড়া ফেলেছে।
সুবিধা:
চুনতি জলপ্রপাত
লোকেশন: চুনতী,লোহাগড়া।
টিকিট মূল্য: টিকিট মূল্য নেই
বিবরণ: চুনতি জলপ্রপাত চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলায় অবস্থিত একটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যপূর্ণ স্থান। এটি চুনতি বনাঞ্চলের মধ্যে পড়ে এবং স্থানীয় জনগণের মধ্যে এক জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র। এখানে বিশাল পাহাড়ি এলাকা এবং সুরম্য জলপ্রপাত পর্যটকদের আকৃষ্ট করে।
সুবিধা: এখানে অনেকেই পিকনিক করতে আসেন। পুরো এলাকায় পিকনিক স্পট রয়েছে, যেখানে বন্ধুবান্ধব বা পরিবার নিয়ে আনন্দ করা যায়।
চুনতি বনবিভাগ
লোকেশন: লোহাগাড়া উপজেলার চুনতি ইউনিয়নে অবস্থিত।
টিকিট মূল্য: টিকিট মূল্য নেই
বিবরণ: এটি হাতি অভয়ারণ্য হিসেবে পরিচিত, যেখানে এশীয় হাতিসহ বিভিন্ন বিরল প্রজাতির প্রাণী বাস করে।
সুবিধা: পর্যটকদের জন্য সুবিধা: ট্র্যাকিংয়ের জন্য চমৎকার পথ। বন বিভাগের রেস্ট হাউজে থাকার ব্যবস্থা। শিক্ষার্থীদের জন্য পরিবেশ শিক্ষা ও গবেষণার সুযোগ।
লোহাগাড়া শিব মন্দির
লোকেশন: মন্দিরটি লোহাগাড়া উপজেলার একটি নিরিবিলি স্থানে অবস্থিত।
টিকিট মূল্য: টিকিট মূল্য নেই
বিবরণ: লোহাগাড়া শিব মন্দিরটি শতবর্ষ প্রাচীন বলে ধারণা করা হয়। স্থানীয় বিশ্বাস অনুযায়ী, এটি আধ্যাত্মিক শক্তি এবং ঐতিহাসিক গুরুত্ব বহন করে। মন্দিরটি হিন্দু ধর্মের অন্যতম প্রধান দেবতা ভগবান শিবের পূজা-অর্চনার জন্য নির্মিত হয়।
সুবিধা: লোহাগাড়া শিব মন্দির শুধু একটি ধর্মীয় স্থান নয়, এটি ঐতিহ্য এবং আধ্যাত্মিকতার একটি কেন্দ্র। এটি দর্শনার্থী এবং ভক্তদের জন্য এক অনন্য অভিজ্ঞতা প্রদান করে।
বাইশারী গ্রাম
লোকেশন: লোহাগাড়া, চট্টগ্রাম
টিকিট মূল্য: টিকিট মূল্য নেই
বিবরণ: বাইশারী গ্রাম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, ঐতিহ্যবাহী জীবনযাত্রা, এবং সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের মিশ্রণে সমৃদ্ধ। এটি ভ্রমণকারীদের জন্য একটি চমৎকার গন্তব্য যেখানে পাহাড়ি প্রকৃতি এবং গ্রামীণ পরিবেশের সাথে সময় কাটানো যায়।
সুবিধা: এটি পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং ঐতিহ্যের প্রতীক। বাইশারী গ্রামটি পাহাড়, ঝর্ণা, ছড়া, এবং বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর জীবনযাত্রার জন্য প্রসিদ্ধ।
নাসিম পার্ক
লোকেশন: পুটিবিলা
টিকিট মূল্য: টিকিট মূল্য নেই
বিবরণ: পশ্চিম কলাউজান ও পুটিবিলার মাঝামাঝি এই পার্কটি সুখছড়ি খালের একপাশে এবং পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত। এখানে অসংখ্য গর্জন গাছ, পাম গাছ এবং অন্যান্য বৃক্ষরাজি রয়েছে, যা পরিবেশকে আরও মনোমুগ্ধকর করে তুলেছে।
সুবিধা: পার্কটি প্রাকৃতিক দৃশ্য, শান্ত পরিবেশ এবং সামাজিক কার্যক্রমের জন্য পরিচিত। এখানে আসলে প্রকৃতির সাথে মেলবন্ধন এবং স্থানীয় সংস্কৃতির স্বাদ নেওয়া যায়।
বুলবুল চৌধুরীর বাড়ি
লোকেশন: চুনতি ইউনিয়ন পরিষদের কাছে অবস্থিত
টিকিট মূল্য: টিকিট মূল্য নেই
বিবরণ: বুলবুল চৌধুরী (১৯১৯-১৯৫৪) ছিলেন বাংলাদেশের আধুনিক নৃত্যের অগ্রগণ্য শিল্পী। তিনি লোহাগাড়া উপজেলার চুনতি ইউনিয়নের চুনতি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। চুনতি ইউনিয়ন পরিষদের কাছে অবস্থিত তাঁর পৈত্রিক বাড়িটি বর্তমানে সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের নিদর্শন হিসেবে পরিচিত।
সুবিধা: